দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করি। বিভিন্ন মাধ্যমে এই যোগাযোগ সম্পন্ন হয়। মাধ্যম অনুযায়ী যোগাযোগের উপকরণও নানা রকম হয়।
নিচে যোগাযোগের তিনটি মাধ্যম দেখানো হলো। তুমি কী উদ্দেশ্যে, কার সঙ্গে এ ধরনের যোগাযোগ করে থাকো, তার একটি করে উদাহরণ দাও।
যোগাযোগের মাধ্যম | যেভাবে যোগাযোগ করা হয় | কী উদ্দেশ্যে, কার সঙ্গে যোগাযোগ করি |
---|---|---|
প্রত্যক্ষ মাধ্যম | যখন কারো সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হয় | |
লিখিত মাধ্যম | যখন লিখে যোগাযোগ করা হয় | |
যান্ত্রিক মাধ্যম | যখন যোগাযোগে যন্ত্রের ব্যবহার হয় |
নিচে যোগাযোগের মাধ্যম এবং এই মাধ্যমে যেসব উপকরণের ব্যবহার হয়, তা দেখানো হলো। এর মধ্যে যেসব উপকরণ তুমি ব্যবহার করো, তা ডানের কলামে লেখো।
যোগাযোগের মাধ্যম | যোগাযোগের উপকরণ | কোন কোন উপকরণ ব্যবহার করি |
---|---|---|
প্রত্যক্ষ মাধ্যম | বাপ্রত্যঙ্গ, কান, হাত, আঙুল, চোখ, ইশারা, সংকেত | |
লিখিত মাধ্যম | কাগজ, কলম, পেনসিল, বই, ব্ল্যাকবোর্ড, হোয়াইটবোর্ড, পত্রিকা, দেয়ালপত্রিকা, ছবি | |
যান্ত্রিক মাধ্যম | মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মাইক্রোফোন, লাউডস্পিকার, মাইক, হেডফোন, রেডিও, টেলিভিশন, অডিও রেকর্ডার, ক্যামেরা, স্ক্যানার |
যোগাযোগ মানেই দুই জন বা আরো বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে ভাব বিনিময়ের একটি প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় আমরা প্রধানত দুটি কাজ করি: নিজের চিন্তা-অনুভূতি-চাহিদা প্রকাশ করি এবং অন্যের চিন্তা-অনুভূতি-চাহিদা বোঝার চেষ্টা করি। এসব কাজের জন্য আমরা যেসব উপায় অবলম্বন করি, সেগুলোকে বলে যোগাযোগের মাধ্যম। নিচে যোগাযোগের তিনটি মাধ্যম উল্লেখ করা হলো:
১. প্রত্যক্ষ মাধ্যম: প্রত্যক্ষ মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক পক্ষ বলে এবং অন্য পক্ষ শোনে। এক্ষেত্রে গলার স্বর, কথার সুর, ইশারা, অঙ্গভঙ্গি, তাকানোর ধরন ইত্যাদি দিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
২. লিখিত মাধ্যম: লিখিত মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে লেখা ও পড়ার কাজটিই মুখ্য। এ ধরনের যোগাযোগের নমুনা: চিঠিপত্র, সাহিত্য, নোটিশ, ব্যানার, মোড়ক, বিজ্ঞাপন, বিজ্ঞপ্তি, পোস্টার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, সাইনবোর্ড, প্রতিবেদন, অ্যাসাইনমেন্ট, পত্রপত্রিকা, ছবি ইত্যাদি।
৩. যান্ত্রিক মাধ্যম: যান্ত্রিক মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবহার হয়। এ ধরনের যোগাযোগের নমুনা: এসএমএস, ই-মেইল, অনলাইন মিটিং, অডিও-ভিডিও কল, সিনেমা ইত্যাদি।
কখনো আমরা শুধু একটি মাধ্যমে যোগাযোগ করি, কখনো একইসঙ্গে একাধিক মাধ্যম ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। যেমন, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগের সময়ে একইসঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ এবং লিখিত যোগাযোগ-দুটি মাধ্যমই ব্যবহার করা হয়।
যোগাযোগ করার সময়ে আমরা নানা ধরনের উপকরণ ব্যবহার করি। যেমন:
১. প্রত্যক্ষ উপকরণ: সরাসরি কথা বলার সময়ে বা প্রত্যক্ষ যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেসব উপকরণ ব্যবহৃত হয়; যেমন-বাপ্রত্যঙ্গ, কান, হাত, আঙুল, চোখ, ইশারা, সংকেত ইত্যাদি।
২. লিখিত উপকরণ: লিখে ভাব প্রকাশের সময়ে বা লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেসব উপকরণ ব্যবহৃত হয়; যেমন-কাগজ, কলম, পেনসিল, বই, পত্রিকা, দেয়াল পত্রিকা, ব্ল্যাকবোর্ড, হোয়াইটবোর্ড, ছবি ইত্যাদি।
৩. যান্ত্রিক উপকরণ: যোগাযোগে যেসব যন্ত্র ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়; যেমন-মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মাইক্রোফোন, লাউডস্পিকার, মাইক, হেডফোন, রেডিও, টেলিভিশন, অডিও রেকর্ডার, ক্যামেরা, স্ক্যানার ইত্যাদি।
আরও দেখুন...